রোবট

রোবট নিয়ে মানুষের আগ্রহ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই মানুষ রোবট নিয়ে গবেষণা করে আসছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন নানান ধরনের রোবট। এসব রোবটের অনেকগুলোই তৈরি হয়েছে মানুষের আকৃতিতে। তাদের কাজকর্মও সব হয়ে উঠছে দিন দিন মানুষের মতই। তাদেরও রয়েছে আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করার ক্ষমতা। পাশাপাশি নানান ধরনের ঘর-গৃহস্থালীর কাজেও তারা হয়ে উঠছে পারদর্শী। এসব রোবট যেন বিশ্বব্যাপী নতুন বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। এসব রোবটের কিছু নিয়েই অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে ইনোরোবো ২০১২। এই প্রদর্শনীর কিছু রোবট নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন মোজাহেদুল ইসলাম
কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নিয়ে গবেষণা কম্পিউটারের আবির্ভাবের প্রায় সমসাময়িক। তবে যন্ত্রমানব বা রোবটের ধারণা অনেক প্রাচীন। কল্পবিজ্ঞানের সব বই থেকেই পাওয়া যায় তার প্রমাণ। কল্পবিজ্ঞানের বইগুলো থেকেই আমরা নানান ধরনের রোবটের দেখা পেয়ে আসছি। সেসব রোবটের কিছু কিছু কেবলই ঘর-গৃহস্থালির নানান কাজে সহায়তা করার জন্য। এর বাইরে রয়েছে নানান ধরনের বুদ্ধিমান রোবট যাদের চেহারা এবং আকৃতিও মানুষের মতোই। কল্পবিজ্ঞানের বইগুলোতে এমন অনেক কাহিনিই দেখা যায়, যেখানে পৃথিবীব্যাপী সব ধরনের কাজেই নিয়োজিত রোবটরা। তারা আবার একসময় একত্রিত হয়ে মানুষদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সেখানেও অবশ্য এমন রোবটও রয়েছে যারা মানবিক গুণাবলীর সুকুমার বৃত্তিগুলো ধারণ করে থাকে। মানুষের সাথে তাদের সম্পর্কও প্রেমময়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে চলচ্চিত্রের পর্দায় রোবটদের সদর্প বিচরণ পরিণত হয়েছে স্বাভাবিকতায়। বাস্তবে সেই ধরনের সক্ষমতাসম্পন্ন রোবট অবশ্য এখনো তৈরি হয়নি। তবে তা তৈরি করতে যে মানুষের খুব বেশিদিন লাগবে না, সেটা একরকম বলাই যায়। অন্তত বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের রোবটের সর্বশেষ বিশাল প্রদর্শনী ‘ইনোরোবো ২০১২’ সে কথাই প্রমাণ করে।
ইনোরোবো ২০১২
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেবাট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ সংস্করণের তৈরি রোবটের জমজমাট প্রদর্শনীর আয়োজনের নাম ‘ইনোরোবো’। গত বছরেই অনুষ্ঠিত হয় প্রথমবারের মতো এই আয়োজন। সেই আয়োজনে ব্যাপক সাড়া পড়ে প্রযুক্তি বিশ্বে। সেবারের সাফল্যের ধারাবাহিকতাতেই এবার আয়োজিত হয় এই প্রদর্শনী। গত বছরে এই প্রদর্শনীতে ৮০টি প্যাভিলিয়ন এবং বুথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও এই বছরে প্যাভিলিয়ন এবং বুথের সংখ্যা ছিলো ১২০টি। আর এতে অংশ নেয় বিভিন্ন দেশের ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর ধরে নানামুখী গবেষণার ফলাফল হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান যেসব অত্যাধুনিক রোবট তৈরি করেছে, সেগুলোরই প্রদর্শনী হয় এই ইনোরোবোতে।
চমক জাগানো সব রোবট
নানান ধরনের রোবট ছিলো এবারের প্রদর্শনীতে এর মাঝে শুরুতেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘কিবো’ নামের একটি রোবট। ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এই রোবটটি নানান কাজে পারদর্শী। ‘কিবো’কে সুন্দরভাবে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সে মিষ্টি করে তার জবাব দেয়। নাচে-গানে পারদর্শী কিবোকে খুশি করতে পারলে সে উপহারও দেয় কাউকে কাউকে। নির্মাতাদের দাবী—কিবোর মধ্যে রয়েছে বিস্মিত হওয়া, রাগ করা, খুশি হওয়া

মন্তব্যসমূহ